ওয়েব ডেস্ক: পরনে শুধুই কালো পোশাক। মুখও ঢাকা কালো মাস্কে। নির্বাচনে জিতলে তবেই মাস্ক খুলবেন, এমনই পণ নিয়েছিলেন পুষ্পম প্রিয়া। বিহারের রাজনীতিতে তিনি অন্যতম চর্চিত চরিত্র। বারবার বলেছেন, চান আসল পরিবর্তন। তাঁর ‘The Plurals Party’ আগেও ভোটের ময়দানে নেমেছিল। সফল হননি, তবে হালও ছাড়েননি। লন্ডন স্কুল অফ ইকনমিক্স থেকে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফেরা পুষ্পম প্রিয়ার রক্তেই রাজনীতি। এবারও সাফল্য রইল অধরাই। বিহারে জয় না পাওয়া পর্যন্ত মাস্ক পরে থাকার শপথ নিয়েছিলেন। প্লুরালস পার্টির প্রধান পুষ্পম। কিন্তু দ্বারভাঙ্গা আসনে বড় ব্যবধানে পিছিয়ে গেলেন তিনি।
দ্বারভাঙা (Darbhanga constituency) আসনে ২০২০ সালে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির সঞ্জয় সারাওগি। এবারের গণনাতেও প্রথম সাত দফার শেষে তিনিই এগিয়ে রয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিকাশশীল ইনসান পার্টির (VIP) উমেশ সাহানি তাঁকে ধাওয়া করলেও ব্যবধান ইতিমধ্যেই ৪,৮০০ ছুঁয়েছে। আর সঞ্জয় সারাওগির থেকে পিছিয়ে পড়েছেন পুষ্পম প্রিয়া, ২৬,০০০-র বেশি ভোটে।
আরও পড়ুন: বিহারের জয় নিয়ে X হ্যান্ডেলে পোস্ট প্রধানমন্ত্রীর
২০২০ সালে ‘নতুন রাজনীতি’র ডাক দিয়ে ‘প্লুরালস পার্টি’র সূচনা করেছিলেন পুষ্পম প্রিয়া। ধর্ম-জাতপাতের বাইরের রাজনীতি প্রতিষ্ঠার ডাক ছিল তাঁর। দলের প্রতীক ‘হুইসেল’ বা ‘সিটি’। রাজ্যজুড়ে ২৪৩টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে প্লুরালস। আর তিনি নিজে প্রচারের মাঠে সবসময় কালো পোশাকে, মুখে মাস্ক – এক রকম রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রতীক হিসেবেই। প্রতিশ্রুতি ছিল, “জিতলে তবেই মাস্ক খুলব।”
ফের একবার, বিহারের কুর্সিতে নীতীশ কুমারই! রেকর্ড সংখ্যাগরিষ্ঠতা, অভাবনীয় জয়, ধারে কাছে টিকতে পারল না বিরোধীদের মহাজোট। ঘরের মাঠেই হারলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব। কোনও ফ্য়াক্টর হতে পারল না প্রশান্ত কিশোরের ‘জন সুরাজ’ পার্টি। দশম বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি দখল করে নীতীশ কুমার কী ফের একবার বুঝিয়ে দিলেন, টাইগার অভি জিন্দা হ্যায়!
দেখুন খবর:







